তবে কি ছাত্রদলের সোহাগকে নিয়ে সব সংবাদ মিথ্যে

ছাত্রদল নেতা সোহাগ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গুঞ্জন চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জোরালো দাবি করা হলেও পুলিশ অস্বীকার করেছে। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে বুধবার পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় খোঁজা হচ্ছে সোহাগসহ কয়েকজনকে।

সূত্র জানায়, মাথায় হেলমেট পরিহিত ও জামার বোতাম খোলা অবস্থায় মারমুখী যে যুবককে সংঘর্ষের সময় পল্টনে দেখা গিয়েছিল তিনিই সোহাগ ভূঁইয়া। এ ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলায়ই আসামি করা হয়েছে তাঁকে। রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

সোহাগের বোন সেলিনা আক্তার গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে একদল লোক আমাকে আটক করে সোহাগের সন্ধান জানতে চায়। নাঙ্গলকোট থানায় নিয়ে রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানো হয়। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল, ভাইকে ধরিয়ে দিলে কয়েক দিন আটক রেখে ছেড়ে দেওয়া হবে। সে মোতাবেক ঢাকার শনির আখড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করা সোহাগকে তুলে দেওয়া হয় ডিবি পুলিশের কাছে। এরপর কেউ আটকের কথা স্বীকার করছে না। মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে গেলে বলা হচ্ছে, সোহাগ ভূঁইয়া নামে কেউ ডিবিতে নাই।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ‘সোহাগকে আটক করা হয়নি। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।’

ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মিশু বিশ্বাস বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে সোহাগের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৮৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিন ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে সোহাগ ভূঁইয়াকে পুলিশের গাড়ির ওপর লাঠি হাতে লাফাতে দেখা যায়। এ ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর থেকে পুলিশ তাঁকেসহ কয়েকজনকে খুঁজছে। সোহাগের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট। পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় রবিন ও মাহবুব নামের আরো দুজন বিএনপিকর্মীকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে বলে স্বজনদের দাবি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ